ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখা ভল্ট থেকে টাকা আত্মসাৎ,২ কর্মকর্তা কারাগারে
: কথায় আছে চোরের একদিন,গীরহস্থের একদিন। ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার ভল্ট থেকে পৌনে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।শুক্রবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ-উর-রহমান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলো ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখার সিনিয়র অফিসার ও ক্যাশ ইনচার্জ রিফাত এবং ম্যানেজার (অপারেশন) এমরান আহম্মেদ।
বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার সরকার ৫৪ ধারায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে আগামী ২১ জুন জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়,আসামিরা ব্যাংকের ভল্টের টাকার দায়িত্বে ছিলেন। ভল্টের চাবি তাদের কাছেই ছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাংকের অডিট টিম ভল্টে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসেবে গড়মিল পায়। ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে অডিট টিম টাকা গড়মিলের স্টেটমেন্ট দাখিল করে। আবু বক্কর সিদ্দিক অডিট টিমের স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়,ব্যাংকের ম্যানেজার তখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অডিট টিমের সহায়তায় আসামিদের আটক করেন। আসামিদের থানায় হাজির করে আবু বক্কর সিদ্দিক বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অফিসার ইনচার্জ অভিযোগটি পর্যালোচনা করে দেখতে পান,এটি পেনাল কোডের ৪০৯ ধারার অপরাধ। এ বিষয়ের তদন্ত ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের শিডিউলভুক্ত। দুদক তদন্তের ব্যবস্থা করবে। আসামিদের কারাগারে না পাঠালে তারা চিরতরে পলাতক হতে পারে। তাছাড়া,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অভিযোগসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দুদকে পাঠানো হয়েছে। দুদক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন প্রদীপ কুমার সরকার।